রাজশাহীর ছাত্রলীগ নেতা শাহিন শাহ হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আরো ২২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
নিহত শাহিন শাহ রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি নগরীর গুড়িপাড়া এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে।
ও্ই ত্যা মামলায় মোট ৩১ জন আসামি ছিলেন। মামলায় সবার সাজা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আলোচিত এ মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর রহমান। রায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড হওয়া অন্য ৮ আসামি হলেন হাসানুজ্জামান হিমেল (৩৮), তৌফিকুল ইসলাম চাঁদ (৪৫), মো. মহাসীন (৫০), মো. সাইরুল (২৬), রজব (৩২), বিপ্লব (৩৫), গুড়িপাড়া এলাকার মো. মমিন (৩০) এবং আরিফুল ইসলাম (২৬)। এদের মধ্যে মমিন ও আরিফুল পলাতক আছেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বুলনপুর জিয়ানগর এলাকার লাল মোহাম্মদ (৩৮), মাহাবুল হোসেন (৪২), সাত্তার (৪৫), সাজ্জাদ হোসেন (৩৮), বখতিয়ার আলম রানা ওরফে রংলাল (৩৫), হাসান আলী (৩২), মাসুদ (৩৫), রাসেল (৩২), রাজা (৩২), মর্তুজা (৩০), সুমন (৩০), গুড়িপাড়া এলাকার আসাদুল (২২), আখতারুল (২৫), জইদুর রহমান (৪৮), ফরমান আলী (৪০), জয়নাল আবেদিন (২৫), রাজু আহমেদ (২৮), আকবর আলী (৪৫), সম্রাট হোসেন (১৯), টিয়া আলম (৩০), আজাদ হোসেন (৩৫) ও মো. মাসুম (২৬)। এদের মধ্যে আজাদ ও মাসুম পলাতক আছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট গুড়িপাড়া সাকিনের ক্লাব মোড়ে শাহিন শাহকে আসামিরা কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহিন শাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে ২৯ আগস্ট নগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নাম না জানা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। তদন্তের পর ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোসাব্বিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এরপর আদালত গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন। এরপর দফায় দফায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছে। প্রথম রায় ঘোষণার দিনের এক বছর পর রায় ঘোষণা করা হলো। মামলায় সাক্ষী ছিলেন ২৪ জন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।